অনলাইন ডেস্ক
দেশের বিভিন্ন নৌরুটে চলাচলে লঞ্চের তৃতীয় শ্রেণিতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করায় ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। নির্দেশনা না মানলে জেলা প্রশাসন আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ভাড়া বাড়াতে চাইছেন লঞ্চ মালিকরা।
বরিশাল-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী প্রতিটি লঞ্চের চিত্র একই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনের সতর্কতা মানছে না কেউ। করোনার ঝুঁকি থাকলেও স্বাভাবিক সময়ে ঈদের মত যাত্রীরা জায়গা পেলেই শুয়ে বা বসে পরছেন। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কিন্তু যাত্রীদের কোনো বাঁধাও দিচ্ছেন না।
গত ৩১ মে চালু হওয়ার পর, প্রতিদিনই সকাল থেকে শুরু হয় লঞ্চের ডেক বা তৃতীয় শ্রেণিতে জায়গা দখলের প্রস্তুতি। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ডেক। আর সন্ধ্যার পর ধারণ ক্ষমতার দেড় থেকে দুইগুণ বেশি যাত্রী নিয়েই ছাড়ছে প্রতিটি লঞ্চ। এমন বাস্তবতায় কোভিড ঊনিশ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ডেকেই বেশি ভিড় হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব যেন ডেকেও মানা হয় সেজন্য প্রশাসনের প্রতি আমরা আবারো অনুরোধ করছি।
যাত্রীদের অসতর্কতার পাশাপাশি বাড়তি মুনাফার লোভে লঞ্চ কর্তৃপক্ষও বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে সরকারি নির্দেশনাকে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, সামাজিক দূরত্ব না মানলে শাস্তি পেতে হবে।
নাগরিক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক কাজল ঘোষ বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ডেক ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। গরীবদের জন্য এমন ব্যবস্থা করতে হবে যেন গাদাগাদি করে না থাকতে হয়।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, লঞ্চের সেই আদিকালের নিয়ম বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে চলাচল করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে বৈঠকে আগের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের ঘোষণা দিলেও, স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে সে অবস্থান থেকে সরতে চাইছেন মালিকরা।
কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে যাত্রী কমাতে হবে ফলে ভাড়াও বাড়াতে হবে।
ঢাকা বরিশাল নৌরুটে ব্যক্তি মালিকানাধীন লঞ্চের সংখ্যা ২৩টি। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটসহ উপকূলীয় এলাকায় চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যা দুই শতাধিক।